ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কলমবিরতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট ভারতীয় গরু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা কোরবানির চামড়া সংগ্রহে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিআরটিএ কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ চিরতরে বাতিল চায় টিআইবি শেরপুরে বন্যার শঙ্কা নটরডেম কলেজে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু রহস্যের জট খুলছে না বৃষ্টি ও তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায়-অর্থ উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হোক-সারজিস ১৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ভিত্তি নষ্ট করা হয়েছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা চলছে-ফখরুল জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি স্টারলিংকের যাত্রা শুরু বাংলাদেশে মাসে সর্বনিম্ন খরচ ৪২০০ টাকা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লাভ নেই, আদালতে লড়তে হবে-আসিফ মাহমুদ মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ না পড়ানো নিয়ে রিটের আদেশ আজ দাবির ইস্যুতে ক্লান্ত ঢাকা ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন দায়ের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত নুসরাত ফারিয়া সাত মাস ধরে বাসায় আটকে ধর্ষণ, গায়ক নোবেল কারাগারে

সাবেক সেনাপ্রধান বীর উত্তম কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

  • আপলোড সময় : ২৭-০১-২০২৫ ০৩:৩২:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০১-২০২৫ ০৩:৩২:৫৪ অপরাহ্ন
সাবেক সেনাপ্রধান বীর উত্তম কে এম সফিউল্লাহ আর নেই
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বীর উত্তম কে এম সফিউল্লাহ (৯১) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। গতকাল রোববার সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী জিয়াউর রহমান মনি। তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বীর উত্তম কে এম সফিউল্লাহ্ প্রথম জানাজা বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাজী আবদুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কে এম সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ফ্যাটি লিভারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি স্ট্রেচারে চলাফেরা করতেন। কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববার এক শোক বার্তায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাব পেয়েছেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন কে এম সফিউল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার অবদান আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ তার বীরগাঁথা আজীবন চিরকৃতজ্ঞে স্মরণ করবে। প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর আত্মার মাগফেরাত ও পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন। তিনি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান। প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বীর উত্তম কে এম সফিউল্লাহ্ জন্ম ১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। ১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন ও ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ-এক আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রথম দিকে কে এম সফিউল্লাহ তিন নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান। মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডাদের নিয়ে ২০০৭ সালে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠিত হলে সফিউল্লাহ ছিলেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে তিনি এ সংগঠনের চেয়ারম্যান হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনাসদস্যের হাতে যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে হত্যার শিকার হন, সফিউল্লাহ তখন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রতি আনুগত্যও প্রকাশ করেছিলেন কে এম সফিউল্লাহ। যদিও এর কয়েকদিন পরই তাকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স